সোমবার   ১৯ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩২   ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৬৮

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সেনা তদন্ত প্রকাশের দাবি হাফিজের ২০০৯ সালের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানা গণহত্যায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীরের তৈরি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। একই সঙ্গে ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবসের ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

রোববার রাজধানীর পুরানো পল্টনের মুক্তিভবনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির উদ্যোগে পিলখানা ট্রাজেডি স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পিলখানা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি যার সিগনালে ঘটনা শুরু হবে তিনি স্টেজেই অজ্ঞান হয়ে পরেন। পিলখানা হত্যায় জড়িত একটি দলের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পূর্বে আলাপ আলোচনাও হয়েছে। হয়তো তাদের সম্মতিতে এ ঘটনা ঘটেছিল।

তিনি বলেন, ঘটনাটি অতি সহজে এড়ানো যেতো। যদি শুরুতেই বিদ্রোহীদের একটি সতর্ক বাণী দেয়া হতো। সেনাবাহিনীর কোনো কিতাবে নেই, বিদ্রোহ শুরু হলে এমপি-মন্ত্রীর সহায়তা চাওয়া। এ সময় সেনাবাহিনীর কাজ হবে বিদ্রোহ দমনের প্রচেষ্টা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে অসমাপ্ত কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। সাধারণ বন্দিরা যেখানে সুবিধা পান না, সেখানে তার নিরাপত্তা আমরা বোধ করছি না। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল কামরুজ্জামান খান, মেজর ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর মো. হানিফ, মেজর সাইদুল ইসলাম, মেজর আহম্মেদ ফেরদৌস, সৈয়দ এহসানুল হুদা, অ্যাড. আজাদ মাহববুব, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম.এম আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এই বিভাগের আরো খবর